ওয়েব ডেস্ক: কুমিল্লাসহ দেশের ছয়টি জেলায় সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা তদন্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা জজদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আগামী ৬০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে। কুমিল্লা ছাড়া অন্য পাঁচ জেলার মধ্যে রয়েছে- চাঁদপুর, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, রংপুর ও ফেনী।
একইসঙ্গে এ বিষয়ে রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। রুলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নিরাপত্তা দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে উসকানিমূলক পোস্ট সরানো এবং সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে করা রিটের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
এর আগে গত ২৬ অক্টোবর সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্টের উদ্দেশ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া সব ধরনের উসকানিমূলক পোস্ট ও ভিডিও অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার সাহাসহ দুই আইনজীবীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের অন্য আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া এ রিট আবেদন দায়ের করেন।
রিটে সারাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি, উপাসনালয় ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ীদের খুঁজে বের করতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের আর্জি জানানো হয়। একইসঙ্গে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। এতে হিন্দু সম্প্রদায়কে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ দোষী কর্মকর্তাদের আদালতে হাজির করার নির্দেশনাও চাওয়া হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি), বাংলাদেশ টেলি কমিউনিকেশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, রংপুর, ফেনীর ডিসি-এসপিসহ ১৯ জনকে রিটে বিবাদী করা হয়।